অবশেষে দক্ষিণ করিমগঞ্জ বাগিয়ে নিলেন সিদ্দেকই
- বার্তালিপি ডেস্ক
- - মার্চ ৮, ২০২১
অবশেষে ইউডিএফ সুপ্ৰিমোকে বাগে ফেলে সিটিং-গেটিং ফৰ্মুলাকে একপাশে রেখে দক্ষিণ করিমগঞ্জে মহাজোটের প্ৰাৰ্থী হতে সক্ষম হয়েছেন প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী সিদ্দেক আহমদ তার চাপে পড়ে ইউডিএফ সুপ্ৰিমো বদরুদ্দিন আজমল ওই কেন্দ্ৰটি হাতছাড়া করতে রাজি হয়েছেন৷ রবিবার রাতে আজমলের দল ৰ্ষোল জনের যে প্ৰাৰ্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তাতে বরাকের তিনটি আসন থাকলেও বাদ গিয়েছে দক্ষিণ করিমগঞ্জ৷ ফলে কংগ্ৰেস এদিন রাতেও তালিকা ঘোষণা না করলেও এই কেন্দ্ৰে যে প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী সিদ্দেকই মহাজোটের প্ৰাৰ্থী হচ্ছেন তা নিশ্চিত৷ অন্যদিকে সিদ্দেকের জোট প্ৰাৰ্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্ৰবল হওয়ায় এদিনই ইউডিএফ ছেড়ে বিজেপির সহযোগী অগপ দলে যোগ দিয়েছেন বিধায়ক আজিজ আহমদ খান৷ নিৰ্বাচনের পালাবদলে ওই কেন্দ্ৰে নিৰ্ণায়ক হতে চলেছেন হিন্দু ভোটাররা৷ এ দিন এ সব নিয়ে বাৰ্তালিপির সঙ্গেও কথা বলেছেন সিদ্দেক৷
মহাজোটের প্ৰাৰ্থী তালিকা নিয়ে অশান্তি দেখা দিয়েছে কংগ্ৰেস শিবিরে৷ সরকারে আসতে মরিয়া কংগ্ৰেসকে চাপে ফেলে মাত্ৰাতিরিক্ত আসন দাবি করেছিলেন বদরুদ্দিন৷ একই পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছিল বরাকে৷ সমস্যা দেখা দিয়েছিল দক্ষিণ করিমগঞ্জ নিয়ে৷ ওই কেন্দ্ৰটি ইউডিএফের দখলে ছিল৷ সিটিং-গেটিং ফৰ্মুলায় আজিজ খানের টিকিট পাওয়া পাকা ছিল৷ কিন্তু বেঁকে বসেন সিদ্দেক৷ এই কেন্দ্ৰটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন তিনি৷ এমনকি একসময় ক্ষোভে মহাজোট ভেঙে দেওয়ার হুমকি পৰ্যন্ত দিয়ে বসেন৷ এতে চাপে পড়েন আজমল৷ অবশেষে বদরপুর কেন্দ্ৰের বদলে দক্ষিণ করিমগঞ্জ ছেড়ে দিতে রাজি হন আজমল৷ সিদ্দেকের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা প্ৰবল হওয়ায় মহাজোটের প্ৰাৰ্থী ঘোষণার আগেই ইউডিএফ ছেড়ে এজিপি-তে যোগ দেন আজিজ আহমদ খান৷ যদিও এজিপি থেকে নিৰ্বাচন লড়তে ইচ্ছুক ছিলেন দলের জেলা সভাপতি হেলাল খান৷ কিন্তু আজিজের যোগদানে তাঁর স্বভঙ্গ হয়েছে বলে অনেকের মত৷ অবশ্য বিরোধিতায় না গিয়ে আজিজের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন হেলাল৷
দক্ষিণ করিমগঞ্জে সিদ্দেকই কংগ্ৰেসের প্ৰাৰ্থী হচ্ছেন, এমন খবর চাউর হতেই দক্ষিণ করিমগঞ্জ কংগ্ৰেস মহলের খুশির হাওয়া পরিলক্ষিত হয়৷ স্থানে স্থানে বাজি-পটকা ফুটিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন তারা৷ গুয়াহাটি তে উপস্থিত তাঁর সমৰ্থকরা ফুলের মালা-গামছা দিয়ে সিদ্দেক আহমদকে সংবৰ্ধনা দেন৷ দক্ষিণ করিমগঞ্জের যুব কংগ্ৰেসের সভাপতি মসরুল খান, জেলা কমিটির পদাধিকারী আব্দুল বাসিত, সুব্ৰত দেব, ব্লক সভাপতি সাহাদত হোসেন গুয়াহাটিতে সিদ্দেক আহমদের সংঙ্গে দেখা করা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তির হাতে মহাজোটের টিকিট দেওয়ায় দক্ষিণ করিমগঞ্জ আসনে মহাজোট অনেকটা এগিয়ে গেছে৷ সিদ্দেক আহমদ, সবাইকে ধন্যবাদ জানান৷ আগামী দিনে মহাজোটকে জয়ী করতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি৷ দক্ষিণ করিমগঞ্জের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পরতে সোমবার করিমগঞ্জে আসছেন বলে জানিয়ে রাখেন তিনি৷
এ দিকে রাজনৈতিক ওলটপালটে দক্ষিণ করিমগঞ্জ কেন্দ্ৰে নিৰ্ণায়ক ভূমিকা নিতে চলেছে হিন্দু ভোট৷ ওই কেন্দ্ৰে প্ৰায় ষাট হাজার হিন্দু ভোট রয়েছে৷ এই ভোট যেদিকে যাবে তারই বিধায়ক হওয়াটা নিশ্চিত হয়ে যাবে৷ এ বার এই হিন্দু ভোট টানার চেষ্টায় রয়েছেন সিদ্দেক৷ গুয়াহাটি থেকে কথা বলেছেন বাৰ্তালিপি’র সঙ্গে৷ আপনার চাপে আজমল নতি স্বীকার করেছেন কি? এমন প্ৰরে খোলামেলা জবাব দিতে গিয়ে সিদ্দেক বলেন, আমাকে বাদ দিয়ে মহাজোট সম্ভবই নয়৷ কারণ মহাজোট নিয়ে আমিই মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলাম৷ আর এখন আমিই বাদ পড়ে যাব তা কি সম্ভব? আমি টিকিট না পেলে মহাজোট ভেঙে যাবে বলেছিলাম৷
অন্য এক প্ৰরে জবাবে বলেন, ‘আজিজ অগপতে যাবেন তা আমি এক বছর আগে থেকেই বলে আসছি৷ আজ আমার কথা প্ৰমাণিত হয়েছে৷ দক্ষিণ করিমগঞ্জ মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা৷ সুতরাং তাঁর অগপতে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই৷ হিন্দু ভোট ইস্যুতে সতৰ্ক মন্তব্য করেন সিদ্দেক৷ বলেন, আমি বরাবরই হিন্দুদের জন্য কাজ করেছি৷ আমার কেন্দ্ৰের দু’একটি মন্দির ছাড়া সবক’টি মন্দিরের উন্নয়নে সাহায্য করেছি৷ কিন্তু আজিজ খান হিন্দুদের কাজ তো দূর, কোনও খোঁজখবরই রাখেননি বলে মন্তব্য করেন সিদ্দেক