আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার ভার্চুয়াল পুনর্মিলন
- বার্তালিপি ডেস্ক
- - ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২১
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পুনর্মিলন অনুষ্ঠান আয়োজিত হল। শনিবার সন্ধে সাড়ে ছয়টায় অনুষ্ঠান শুরু হয় । গুগোল মিট-এ অ্যাপের মাধ্যমে এককাট্টা হন সবাই। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন এমন ছাত্র ও গবেষকরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নেন। মহামারির জন্য কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নানাবিধ শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের জন্য ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মকেই বেছে নেওয়া হয় । সব বাধা অতিক্রম করে খুব সহজে বেশি সংখ্যক প্রাক্তনীরা যাতে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন, সেদিকে লক্ষ রাখা হয়েছিল । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থা আয়োজিত এটি তৃতীয় পুনর্মিলন অনুষ্ঠান, তবে আন্তর্জালে প্রথম। তাই স্বাভাবিকভাবে নতুন ফরম্যাট নিয়ে আগ্রহ ছিল বেশি।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার আহ্বায়ক ড. প্রদীপ্ত দাসের স্বাগত ভাষণ পেশ করেন। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ পথচলার নানান মুহূর্ত মিলিয়ে একটি স্বল্প সময়ের ভিডিও ক্লিপ ওইদিন প্রদর্শিত হয় । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার সহ-সভাপতি মনোজ কুমার পাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ও বর্তমান নিয়ে কথা বলেন। উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও বর্তমান নিবন্ধক ড. প্রদোষ কিরণ নাথের বক্তবয়ে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধির নানান প্রসঙ্গ । তিনি বলেন ছয়টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন চল্লিশটির উপর বিভাগ রয়েছে, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো ক্যাম্পাস রয়েছে । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার সভাপতি ও বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক দিলীপ চন্দ্র নাথ বলেন প্রাক্তনীরাই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান স্তম্ভ, তাঁদের সাহায্য ও সহযোগিতা ছাড়া যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি অসম্ভব । নিউ এডুকেশন পলিসি কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমুল পাল্টাতে পারে, তার ইতিবাচক দিকগুলি নিয়ে তিনি আলোকপাত করেন ।
ওইদিনের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. অনিল চন্দ্র বরা। ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী শতদল আচার্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, শতদল সম্প্রতি অসম সরকারের লেখক সম্মাননা পেয়েছেন । শতদল ছাড়াও সমর বিজয় রায় ও কিশান চরইকেও সম্মান জানানো হয়। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংস্থার সাংস্কৃতিক সমন্বয়ক ড. হিমাদ্রি শেখর দাস ওইদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিচালনা করেন ।