ভোটের দু’মাস আগে তিন শাখা-সংগঠনের প্ৰতিনিধি নেই প্ৰদেশ নেতাদের সাংগঠনিক বৈঠকে
- বার্তালিপি ডেস্ক
- - ফেব্রুয়ারী ২, ২০২১
শিলচর জেলা কংগ্ৰেসের সাংগঠনিক ভিত দুৰ্বল দেখে কাৰ্যত অসন্তোষ ব্যক্ত করলেন প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের কাছাড় জেলার ভারপ্ৰাপ্ত সম্পাদক রামান্না বয়া৷ সোমবার বিকেলে ইন্দিরা ভবনে অনুষ্ঠিত জেলা কংগ্ৰেসের এক বৈঠকে মাত্ৰ ১৬টি ব্লকের মধ্যে ছ’টি ব্লকের প্ৰতিনিধি হাজির ছিলেন৷ সবচেয়ে বড় কথা, ভোটের আগে সাংগঠনিক শক্তি যাচাইয়ের জন্য প্ৰদেশ কংগ্ৰেসের প্ৰতিনিধ্বিা এসে দেখতে পেলেন ইন্দিরা ভবনের ভাঙা হাট৷ অৰ্থাৎ নেই তৃণমূল স্তরের কৰ্মীরা এবং ব্লক কংগ্ৰেসের সভাপতিরাও৷ শহর ব্লক কংগ্ৰেসের যিনি সভাপতি অৰ্থাৎ শিলচরের আগামী ভোট যুদ্ধে যাঁর মুখ্য ভূমিকা নেওয়ার কথা সেই সজল বণিকও ছিলেন গরহাজির৷ সাংগঠনিক এই অবস্থা পৰ্যবেক্ষণ করে রামান্না বয়া ১৫ মিনিটের মধ্যেই সভা শেষ করে প্ৰচণ্ড অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন৷ দলের এক সূত্ৰ জানিয়েছে, ভোটের দু’মাস আগে যদি সংগঠনের এই হাল হয় তা হলে লড়াই তো দূর কাছাড় জেলা থেকে কোনও আসনেই দলীয় প্ৰাৰ্থীরা জয়ী হতে পারবেন না, সেটা প্ৰায় নিশ্চিত৷ তাছাড়াও যুব কংগ্ৰেস-এনএসইউআইর কোনও প্ৰতিনিধিও বৈঠকে হাজির ছিলেন না৷ ছিলেন না সেবাদল ব্ৰিগেডের কোনও নেতা৷
বিজেপি-র সঙ্গে লড়াই করা কঠিন হবে কংগ্ৰেসের !
শিলচরের প্ৰাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবও আমন্ত্ৰিত হলেও সভায় তাঁকেও দেখা যায়নি৷ রাজনৈতিক পৰ্যবেক্ষক মহল বলছেন, ভোটের দু’মাস আগে এই যদি সাংগঠনিক অবস্থা হয় তা হলে বিজেপি-র মতো সংগঠিত শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লড়াই করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়৷ জেলা কংগ্ৰেসের শাখা সংগঠনগুলির মধ্যে একমাত্ৰ মহিলা কংগ্ৰেস এবং ওই শাখারই বড়খলার কো-অৰ্ডিনেটর ছাড়া অন্য কোনও ব্লকের প্ৰতিনিধ্বিাও হাজির ছিলেন না৷ এখানে স্বাভাবিকভাবেই প্ৰ ওঠে, তা হলে কি ভোট ঘোষণার আগেই কংগ্ৰেস নিজেদের নিৰ্বাচনী লড়াই থেকে সরিয়ে নিল৷ যদিও দলীয় সূত্ৰে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, আগামী ৪ ফেব্ৰুয়ারি ধলাইয়ে আয়োজিত জনসমাবেশে তাঁরা সাংগঠনিক শক্তির প্ৰমাণ দেবেন৷ কিন্তু প্ৰ হল, ১৬টি ব্লকের মধ্যে মাত্ৰ ছয়জন প্ৰতিনিধি প্ৰদেশ নেতাদের সভায় হাজির থাকলে এটা সহজেই প্ৰমাণ হয়, কাছাড় জেলায় কংগ্ৰেসের শক্তি ক্রমশ ক্ষীয়মান হচ্ছে৷ এ দিনের সভায় অবশ্য কোনও বিক্ষুব্ধ কংগ্ৰেস নেতাদেরও দেখা যায়নি৷ তা হলে কি প্ৰদেশ কংগ্ৰেস বিক্ষুব্ধদের নিয়ে ভোটের আগে দলকে শক্তিশালী করার কাজে উদ্যোগী হবেন? এটার সঠিক জবাব দিতে পারেন প্ৰদেশ সভাপতি রিপুন বরাই৷ জিতেন্দ্ৰ সিং, রকিবুল বা প্ৰদ্যোৎ একদিনে এসে সংগঠনকে শক্তিশালী করে ভোটের উপযোগী করে যাবেন, এমন কোনও সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না৷ আর এটা বাস্তবে সম্ভবও নয়৷ এই প্ৰেক্ষাপটে জেলা কংগ্ৰেসে যদি ঢালাও রদবদল না করা হয় তা হলে গোটা কাছাড় জেলা থেকে কংগ্ৰেস প্ৰাৰ্থীরা শক্তিশালী লড়াই করতে পারবেন গেয়া দলের সঙ্গে এমন কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না৷ এই অবস্থায় প্ৰদেশ সভাপতি যদি জেলা কংগ্ৰেস সভাপতি পদে রদবদল না ঘটিয়ে ধামাচাপা গোছের কোনও সমাধান করতে যান তা হলে এটা হবে দলের পক্ষে হিতে বিপরীত৷