জ্বালানি তেলের কালোবাজারি চলছে করিমগঞ্জে। সরকারি বরাদ্দ তেল গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে করিমগঞ্জের একাংশ ব্যবসায়ী। বদলে মিশিয়ে দিচ্ছে কেরোসিন তেল। এমনও অভিযোগ ছিল বহুদিনের। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তিনটি অবৈধ জ্বালানি তেল পরিবহনকারী গাড়ি আটক করেছে সদর পুলিশ। যদিও অপর একটি গাড়ি পালিয়ে গেছে। গাড়ি তিনটি থেকে প্রায় চার হাজার লিটার জ্বালানি তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি বুলারাম তেরং।
অভিযোগ, প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা থেকে আসা তেলবাহী গাড়ি মাঝ রাস্তায় আটকে অর্ধেক তেল নিয়ে যাচ্ছে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী। আর গাড়িতে থাকা তেলের সঙ্গে কেরোসিন বা জল মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে এই তেলই কিছু পেট্রোলপাম্পে নিয়ে আসছে চালকরা। এই ভেজাল তেল ব্যবহারে মানুষের যানবাহন বিকল হয়ে যাচ্ছে।
এবারে পুলিশের জালে আটকা পড়েছে এসব ভেজাল তেলের গাড়ি। চরোগালা এলাকায় আটক করা প্রতিটি গাড়িতেই অবৈধ জ্বালানি তেল পাওয়া গেছে। এগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। দায়ের হয়েছে মামলা। ওসি বুলারাম তেরং বলেছেন, তিনটি গাড়ি থেকে প্রায় চার হাজার লিটার অবৈধ জ্বালানি তেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিলে জ্বালানি তেল ভর্তি ট্যাংকিগুলো ডিপোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।