চড়ছে ভোটের পারদ, অমিত সফর ধস নামাতে পারে তৃণমূলে
- বার্তালিপি ডেস্ক
- - জানুয়ারী ২, ২০২১
একদিকে কাঁথির অধিকারীরা যখন ধস নামাচ্ছে তৃণমূলের ভিতে, সেই সময় বাংলার শাসকদলের ঘুম কেড়েছে হাওড়া। রাজ্যের অন্তত দু'জন মন্ত্রীর গতিপ্রকৃতি নিয়ে অস্বস্তিতে আছে দল।
জানা গিয়েছে, জেপি নাড্ডা অথবাবা অমিত শাহকে সামনে রেখে জানুয়ারিতে হাওড়ায় বড় রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য কোমর বাঁধছে বিজেপি। সেই সভাতেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা, মন্ত্রী।
জল্পনার প্রথম সারিতে আছে তিনটি নাম। দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। এছাড়াও এই তালিকায় আরও বেশ কয়েকটি নাম আছে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, বৈশালীর আনুষ্ঠানিক যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী ১৯ ও ২০ তারিখ ফের বাংলা সফরে আসছেন অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রের খবর, মতুয়া-ভূমি ঠাকুর নগরের পাশাপাশি হাওড়ার ডোমজুড়ে সভা করতে পারেন তিনি। ডোমজুড় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কেন্দ্র।
তবে রাজীব এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতনের সঙ্গে এখনও দরকষাকষি চলছে বলেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর। কেননা দু'জনেই মন্ত্রী, ফলে দু'জনেই জয়ের নিশ্চয়তার পাশাপাশি আরও আকর্ষণীয় ভবিষ্যৎ চাইবেন সেটাই স্বাভাবিক। এই চাওয়া এবং দেওয়ার প্রতিশ্রুতির মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুক্রবার, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রকাশ্যে চলে আসে। জেলা তৃণমূলের অনুষ্ঠানে এদিন গরহাজির ছিলেন রাজীব ও লক্ষ্মীরতন উভয়েই। এদিন আবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে লক্ষ্মীরতনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উজাড় করে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্মীরতন শুধু রাজ্যের মন্ত্রীই নন, তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতিও। প্রসূনের মন্তব্য, 'লক্ষ্মীরতনের তো কোনও মুভমেন্টই নেই।' প্রসূন বলেন, 'তৃণমূল দলটা যেন কেমন হয়ে গেল। আগে বেশ সুন্দর ছিল। এখন অনেকগুলো ভাগ হয়ে গেছে দলের মধ্যে।' প্রাক্তন ফুটবলারের এই মন্তব্যেই পরিস্কার হয়েছে হাওড়ায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবিটা।
এরই পাশাপাশি, দলের আরেক মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেকে নিয়েও রক্তচাপ বাড়ছে তৃণমূলের। এদিন তিনি প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেন, 'খারাপ লোকদের দল থেকে বাদ দেওয়া উচিত।' এতে ক্ষোভ ঝড়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলায়। তিনি বলেছেন, ওঁর যদি কিছু বলার থাকে তাহলে দলের ভেতরে বলুন। বাইরে বলে ওস্তাদি মারার দরকার নেই।'