অনুপ্ৰবেশ রুখতে মেঘালয়ে আইএলপি জরুরি, আন্দোলনে কমসো
- বার্তালিপি ডেস্ক
- - ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
মেঘালয়ে ফের ব্ৰিটিশ আমলের মতো ইনার লাইন পারমিট চালুর জোরালো দাবি উঠেছে৷ খাসি, জয়ন্তিয়া সহ রাজ্যের গারো হিলসের ৰ্ষোলোটি সংগঠনের একটি যৌথ মঞ্চ পথে নেমেছে এই গণদাবি নিয়ে৷ শনিবার রাজ্যজুড়ে প্ৰতিবাদী কৰ্মসূচি করেছে কনফেডারেশন অব মেঘালয় সোশ্যাল অৰ্গানাইজেশন (কমসো)৷ শিলং ও তুরাতে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ কৰ্মসূচিতে শামিল হন সংগঠনের কর্মকর্তারা।আইপিএল চালু সহ সিএএ বাতিলের দাবিতে সরব হয় কমসো৷
কমসো’র চেয়ারম্যান রবাৰ্ট খারজহরিন জানান, এই দাবি নতুন কিছু নয়৷ বহুদিন ধরেই রাজ্যের আমজনতার হয়ে এ নিয়ে আওয়াজ তুলছে কমসো৷ মূলত মেঘালয়ের সুরক্ষার স্বাৰ্থেই এই দাবিতে নাছোড় যৌথ মঞ্চ৷
কেন পুরোদমে ইনার লাইন পারমিট চাইছে মঞ্চ? তার গুরুত্বই বা কী? এ প্রশ্নে চেয়ারম্যান রবাৰ্ট-এর যুক্তি, মেঘালয়ের ৯৭ শতাংশ এলাকাই তফশিলি অন্তৰ্ভুক্ত৷ আর কেন্দ্ৰের নীতি-নিয়ম অনুযায়ী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) লাগু হবে না এখানে৷ কিন্তু বাকি ৩ শতাংশ অঞ্চলই রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য অশনিসঙ্কেত৷ কারণ, ওই এলাকাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তে থাকায় অনুপ্ৰবেশের সম্ভাবনা অনেক বেশি৷ সীমান্তবৰ্তী এসব এলাকাকে ভারতে বেআইনিভাবে প্ৰবেশের হটস্পট বলাও চলে৷ আর এখানেই ইনার লাইন পারমিটের প্ৰয়োজনীয়তা সঠিক অৰ্থেই যুক্তিযুক্ত৷ কারণ, এই আইন লাগু থাকলে সুরক্ষিত এলাকায় সীমিত সময়ের জন্যই চলাচলের অনুমতি পাবে যে কেউ৷ বেআইনি ও ইচ্ছেখুশি বসবাসের সুযোগ থাকবে না৷ রাজ্যের সুরক্ষাও বজায় থাকবে৷
চেয়ারম্যান রবাৰ্ট আরও জানান, ২০১৩-তে রাজ্যে কংগ্ৰেস সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আইপিএল রূপায়ণের দাবি উঠেছিল৷ পরে ২০১৬ সালে মেঘালয় রেসিডেন্টস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাস হয়৷ তার মাধ্যমে কিছুটা হলেও প্ৰত্যাশার জায়গা তৈরি হয়৷ কারণ, রাজ্যে অবৈধ বসবাস সম্পৰ্কে যাচাইয়ের বিকপ্ল ছিল৷ তবে, এ বছরের মাৰ্চ মাসে মেঘালয় রেসিডেন্টস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (এমআরএসএসএবি) হতাশা বাড়িয়েছে৷ কারণ, আজ অবধি বাস্তবায়ন হয়নি৷ সংশোধনী আইন অনুযায়ী, ভাড়াটে ও বাইরের চলাচলাকারীরা ৪৮ ঘণ্টার বেশি রাজ্যে থাকলে তাঁকে নিজের সম্পৰ্কে সম্পূৰ্ণ তথ্য সরকারকে জানাতে হবে৷ কিন্তু এই নিয়মশৃঙ্খলা এখনও রয়েছে খাতায়-কলমে৷ পাশাপাশি আইএলপি-এর উদ্দেশ্যপূৰ্তিতে নতুন আইন প্ৰত্যাশামতো নয়, মন্তব্য খারজহরিনের৷ তাই এ বারে দাবি আদায়ে জোরদার আন্দোলনই শেষ কথা, সাফ জানিয়ে দেন তিনি৷
উল্লেখ্য, ইতিবাচক প্ৰতিশ্ৰুতি পেয়ে বছরখানেক আগে এই ইস্যুতে আন্দোলন প্ৰত্যাহার করে নিয়েছিল সংগঠন৷ ২০১৯-এর ১৮ ডিসেম্বর কেন্দ্ৰের কাছে পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মেঘালয় বিধানসভা সৰ্বসতিক্রমে রাজ্যে আইএলপি লাগুর প্ৰস্তাবও পাস করেছিল৷ মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড সাংমা গুত্বপূৰ্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এতে৷