বড়দিনে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন আয়োজনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন পড়ুয়ারা। একটি আন্তর্জাতিক ছুটির দিনে এভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান কোনোভাবেই মানা যাবে না বলে মাঠে নেমেছে ছাত্র ইউনিয়ন। আরও অভিযোগ, কোভিড প্রটোকলের দোহাই দিয়ে শুধুমাত্র ২০০ পড়ুয়াকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ, সমাবর্তনের নামে ১৫০০ টাকা করে ৩ হাজার ৫০০ পড়ুয়ার কাছ থেকে ৫২ লক্ষ টাকা আদায় করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার এসব অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ইউনিয়ন। ২৫ ডিসেম্বর অষ্টাদশ সমাবর্তন আয়োজনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের দাবি, হয় তিন দিনের অনুষ্ঠান হোক, না হলে ক্রিসমাসের দিনে গোটা সমাবর্তনই বাতিল করুক কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাড়করি সমাবর্তনের মুখ্য অতিথি থাকায় তাঁর সুবিধামতো অনুষ্ঠান করতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।বঞ্চিত করতে চাইছে পড়ুয়াদের। ছাত্র সংগঠন আকসা'ও পাশে দাঁড়ায় ইউনিয়নের। সমাবর্তন এক হোক বা তিনদিনের এতে কিছু যায় আসে না, কিন্তু পড়ুয়াদের প্রতি বৈষম্য বরদাস্ত করা যাবে না।
এদিন, প্রতিবাদ স্থলে উপস্থিত হন উপাচার্য দিলীপ চন্দ্র নাথ ও নিবন্ধক প্রদ্যুষকিরণ নাথ। আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন পড়ুয়াদের। তবে, রাজি হননি তাঁরা। উল্টো দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয় ইউনিয়ন।