বার্তা লিপি প্রতিবেদন শিলচর ২৬ ডিসেম্
বার্তা লিপি প্রতিবেদন শিলচর ২৬ ডিসেম্বর: টিপার ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে রবিবার সন্ধ্যা ডলুতে দুই অটো যাত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু। এ মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে শিলচর হাফলং জাতীয় সড়কের ডলু ও ময়নাগড়ের মধ্যে। ডলু দিক থেকে উদারবন অভিমুখে আসা দুইটি টিপারের পরপর ধাক্কায় ভুল দিশে আসা একটি অটোরিকশায় প্রচণ্ড জোরে খুণ্ডা মারলে ঘটনাস্থলে মারা যায় দুই অটো যাত্রী । গুরুতর আহত অন্য একজনকে উদ্ধার করে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নেওয়া হয় যদিও রাস্তায় তার মৃত্যু ঘটে।
এদিকে, দুর্ঘটনা সংঘটিত করে ঘাটক টিপারের চালক পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরে স্থানীয় ও একাংশ পথ যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে অবরোধ করে।
শিলচর - হাফলং সড়ক । তারা সড়কের উপর মৃতদেহ রেখে অবরোধ গড়ে তোলেন ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ডলু দিক থেকে আসা একটি অটোরিক্সার সঙ্গে শিলচর অভিমুখী দুইটি টিপার গাড়ীর সংঘর্ষের ফলে সংঘটিত হয় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুইজনের । গুরুত্বর আহত অবস্থায় অন্য একজনকে উদ্ধার করে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় যদিও পথে তার মৃত্যু ঘটে ।
ক্ষুব্ধ জনতা অভিযোগ করে আরো বলে, পাথরবাহি দুটি ট্রিপার দ্রুতবেগে মহাসড়ক হয়ে শিলচর অভিমুখে যাওয়ার পথে ছিল। দুটি ট্রিপার প্রতিযোগিতার মেজাজে যাওয়ার পথে ছিল। টিপার দুইটি ওভারটেক করতে গিয়ে, বিপরীত দিক থেকে আসা অটোর সঙ্গে মূখোমুখি সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে মারা যায় অটোতে থাকা দুই যাত্রীর। গুরুতর আহত অন্যজনকে মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে রাস্তায় মৃত্যু হয় ওই লোকটির ও।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বড়খলা থানার ওসি মনমোহন রাউত দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ সড়কে পড়ে থাকা মৃতদেহ দুইটি উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিতে চাইলে উত্তেজিত জনতা বাধা প্রধান করে । তাদের দাবি, এপি ও ডিসি ঘটনাস্থলে না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ নিতে দেওয়া হবে না । ফলে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিতে ব্যর্থ অবস্থায় পড়েন পুলিশ।
এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে আছেন পুলিশ সুপার রমনদ্বীপ কৌর, এডিশনাল পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার সেন, ডিএসপি কল্যান কুমার দাস ও একজন ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশ সুপারের সামনে ক্ষুব্ধ জনতা বলেন, সপ্তাহের মধ্যে মহাসড়কের বড়খলায় এনিয়ে পৃথক পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় । প্রত্যেকটি দুর্ঘটনা টিপার গাড়ীর বেপরুয়া চলাচলের ফলে হয়েছে। তাই এর নিয়ন্ত্রন সহ বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে প্রশাসন। টিপার গুলিকে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য সড়কে স্পীড ব্রেকার বসানোর দাবি জানানো হয়।
জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এসপি রমনদ্বীপ কৌর
আশ্বাস দিলে তিন ঘন্টা পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়৷ তারপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গেছে, নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। একজন দুধপাতিল বাগেনের সঞ্জীব আখরা(৩০) ও বিহাড়ার রীতুজ্যোতি আচার্য (৩৫)। নবীদের পথে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হওয়া লোকটির পরিচয় সংবাদ মাথা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।