দশদিনের একটা কোচিং ক্যাম্পে আশাপ্রদ কিছুই, হবে না। দীর্ঘস্থায়ী কিংবা নিয়মিত শিবির আয়োজন করতে পারলে তবেই সুফল আসবে। কথাগুলি বলছিলেন শিলচর ভেটেরন ক্রিকেটার্স ক্লাবের শিবিরে আসা কোচ জাভেদ খান। আজ সন্ধে তাঁকে ক্লাবের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। সেখানে তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত এবং একটানা শিবির করতে গিয়ে ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া যায়নি। অথচ, রুটিনমাফিক বিশ্রামেরও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
শিলচরের জুনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে আশার বাণী শোনালেন ৫৪ বর্ষীয় এই কোচ। সোজাসুজি বলে দিলেন, 'শিলচরের টিমের সঙ্গে আসাম টিমের একটা ম্যাচ খেলাতে পারলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের গ্যারান্টি দিতে পারি। এদের ঠিকমতো গড়ে তুলতে পারলে এখানকার ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।'
শিলচর যখনই ডাকবে, তিনি বরপেটা থেকে ছুটে আসতে তৈরি থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন রনজি পেসার জাভেদ। বললেন, শিলচরের প্রতি আলাদা টান অনুভব করেন। কারণ, বিয়ের প্রথম দশ বছর সন্তানের মুখ দেখেননি। আর, যে বছর শিলচর আসেন, সেই বছরই পিতৃত্বের স্বাদ পান। সেজন্য, তখন থেকে শিলচরের প্রতি দুর্বলতা তৈরি হয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন শিলচর ডি এস এ-র তিন সহসচিব অজয় চক্রবর্তী, অরিজিৎ গুপ্ত এবং যাদব পাল। তারা ক্রিকেটার সংস্থার এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শিলচর ভেটেরন ক্রিকেটার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে সচিব নিরঞ্জন দাস সহ অন্যরা জাভেদ খানের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন। ডি এস এ-র পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেন সভাপতি বাবুল হোড়। আর, অনুষ্ঠানটির সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন আয়োজক ক্লাব সভাপতি তথা ডি এস এ-র সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং।