বার্তা লিপি প্রতিবেদন শিলচর ২২ ডিসেম্
বার্তা লিপি প্রতিবেদন শিলচর ২২ ডিসেম্বর: গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কাছাড় পুলিশ প্রচুর পরিমাণে বার্মিজ সিগারেট ও সুপারি বাজেয়াপ্ত করেছে। ধলাই থানা ও রাঙ্গিরখাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ মঙ্গলবার পৃথক পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে ৪৬ হাজার ৯২০ প্যাকেট বার্মিজ সিগারেট ও ১২০ বস্তা বার্মিজ সুপারি বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। অবৈধভাবে পাচার করা এসব সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি পুলিশ দুজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। অবশ্য, এরমধ্যে ৪ টি ট্রাকের চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ধলাই থানার নবনিযুক্ত ওসি হিমাক্ষী নাথ দলবল নিয়ে
অভিযান চালায় নূতন বাজারে। বুধবার শিলচর- আইজল জাতীয় সড়কে অভিযান চালিয়ে এমএল - ০৪ - সি ১৭১০ নম্বরের একটি ইনোভা গাড়ী থেকে প্রচুর পরিমাণের বিদেশী সিগারেট বাজেয়াপ্ত করে। ইনোভা থেকে ৪৬ কাৰ্টুন ও ৭ বস্তা বাৰ্মিজ সিগারেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা সিগারেটের পরিমাণ ৪৬ হাজার ৯২০ প্যাকেট বলে জানান পুলিশ। যার আন্তরাষ্ট্রীয় বাজার মূল্য ১ কোটি টাকার চেয়েও বেশি। মিজোরাম হয়ে গোপনে পাচার করা হয়েছিল ম্যানমারে প্রস্তুত করা এসব বিদেশি সিগারেট । সিগারেট গুলি বহি রাজ্যে পাচার করার জন্য মিজোরাম থেকে থেকে আনা হয়েছিল। সিগারেট বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ইনোভা গাড়ির চালক রাকিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাকিব হোসেনের বাড়ি শিলচর মেহেরপুরের বলে জানান ধলাই থানার ওসি হিমাক্ষী নাথ ।
এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয় ভাগাবাজারে।
বুধবার সাতসকালে ভাগাবাজারে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এএস ২৪-সি - ৯২৫০ বলেরো পিকাপ থেকে ৩০ বস্তা বার্মিজ সুপারি বাজেয়াপ্ত করে। ভাগা বাজারের একটি গুডাম থেকে এসব সুপারি লোড করে বরপেটার উদ্দেশ্যে নেওয়ার সময় বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা ৩০ বস্তা সুপার এর ওজন ১২ কুইন্টাল বলে জানান পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা সুপারির মূল্য প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। অবৈধভাবে পাচার করা সুপারি বাজেয়াপ্ত করার সঙ্গে বলেরো পিকাপ ভ্যানের চালক সুলেমান দেওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত সুলেমানের বাড়ি বরপেটার বরপানিত বলে জানান পুলিশ।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত্রে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খণীন্দ্র নাথের নেতৃত্বে অবৈধভাবে পাচার করা বার্মিজ সুপারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। আইজল থেকে আসা ৪ টি ট্রাক অনুসরণ করে শিলচর ন্যাশনাল হাইওয়ে রোডে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশকে দেখে ট্রাক ৪ টি রেখে পালিয়ে যায় ট্রাকের চালক। পুলিশ ট্রাক ৪ টিতে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করে মোট ৯২ বস্তা বার্মিজ সুপারি। ট্রাকের চেসিসের সঙ্গে সমান্তরালভাবে গোপন কেবিন বানিয়ে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল সুপারির বস্তা গুলি। ৪ টি ট্রাক থেকে মোট ৯২ বস্তা বার্মিজ সুপারি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত সুপারির পরিমাণ প্রায় 3,680 কিলো গ্রাম হবে বলে জানান
রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খণীন নাথ।
বাজেয়াপ্ত সুপারহিট মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হবে বলেও জানান পুলিশ। সুপারি বাজেয়াপ্ত করা হলেও সুপারি সরবরাহ করা ৪ টি ট্রাকের চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।