রাম রাজ্য শুরু হয়েছে ভারতে। হারানো বৈভব ফিরে পাচ্ছে ভারত। হায়দরাবাদের নাম পাল্টে ভাগ্যনগর করা হচ্ছে৷ ঠিক একইভাবে খুব শীঘ্রই করিমগঞ্জের নাম পাল্টে হবে শ্রীভূমি। রবিবার শৌর্য দিবস উপলক্ষে করিমগঞ্জ জেলা গ্রন্থাগারে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বজরংদলের রাষ্ট্রীয় সংযোজক সোহন সিং সোলংকি।
৬ আগস্ট শৌর্য দিবস হিসেবে পালন করে থাকে বিশ্বহিন্দু পরিষদের বজরংদল। এবারও ব্যতিক্রম নয়। শৌর্য দিবসকে কেন্দ্র করে করিমগঞ্জ এসেছেন সর্বভারতীয় নেতা সোহন সিং। শনিবার সন্ধে করিমগঞ্জ এসে পৌঁছেছেন তিনি।
রবিবার, সকাল এগারোটা নাগাদ সোলংকি'কে নিয়ে করিমগঞ্জ কলেজের ময়দান থেকে এক র্যালি বের করে বজরং দল। প্রায় দুই হাজারেরও বেশি দলীয় সদস্য অংশ নেন। গোটা শহরকে দস্তুরমতো গেরুয়া করে দেয় বজরংদল। কলেজের মাঠ থেকে হেঁটে জেলাগ্রন্থাগার মিলনায়তনের সভায় অংশ নেন সোহন সিং। তিনি বলেছিলেন, বর্তমানে রামরাজ্য শুরু হয়েছে ভারতে। এই দেশ সনাতনীদের দেশ। বিশ্বহিন্দু পরিষদ ভগবান রামের জন্য লড়াই করে আসছে। লড়াই করছে হিন্দুর সুরক্ষা ও অধিকারের জন্য। বজরং নেতার কথায়, হিন্দুদের প্রতি পদে পদে বঞ্চিত করা হয়েছে। হিন্দুরা নিজেদের দাবির জন্য মুখ খুললেই সাম্প্রদায়িক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হিন্দুরা অনেক সহ্য করে এসেছেন। এখন ওইসব অতীত হয়ে গেছে। আর কোনও হিন্দু নীরব থাকবেন না। ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন সোলংকি।হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।
এদিকে, বজরং দল আয়োজিত ওই সভায় সংঘচালক নর্মদা চক্রবর্তীকে মঞ্চেই ডাকা হয়নি। অথচ জেলার সংঘ প্রধান তিনি। তাঁকে দর্শকাসনে বসিয়ে রাখা হয়। এনিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সংঘ পরিবারে, জানা গেছে একাধিক সূত্রে। এই অনুষ্ঠানে বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ অনুগামী ঠিকাদার সুমন ধরকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও অশান্তি রয়েছে সংঘ পরিবারে। কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ সুমনকে গেরুয়া সংগঠনের অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ায় বইছে সমালোচনার ঝড়ও। বেশিরভাগ বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থক মেনে নেননি এমন সিদ্ধান্ত।