সুপার ডিভিশনে ডি এস এ-র আস্থার মান রাখলেন অঙ্কুর
- বার্তালিপি ডেস্ক
- - ডিসেম্বর ৫, ২০২০
করোনা কালের ক্রিকেট মরশুমে চারটি লিগ ঠিকঠাক ভাবে শেষ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে শিলচর ডি এস এ। এই চারটি লিগ একটির সঙ্গে আরেকটি ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। যে পিরামিডে রয়েছে উত্তরণ-অবনমনের খেলা। সোমবার ইটখলা স্পোর্টিং ক্লাব বনাম সোনাই ক্রিকেট সংস্থার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে পারুল রানি শর্মা স্মৃতি বি ডিভিশন। পরদিনই নারায়ণ চন্দ্র পাল স্মৃতি সুপার ডিভিশন। দুই আসরের মধ্যে বড় পার্থক্য একটাই। বি ডিভিশনে পুরনো স্পনসর ধরে রাখতে পারেনি ডি এস এ, সুপার ডিভিশনে কিন্তু গতবারের স্পনসর অঙ্কুর পাল তাঁর ওপর আস্থার মান রেখেছেন।
করোনায় দীর্ঘ লকডাউনে অনেকের ব্যবসা মার খেয়েছে। তাই, স্পনসররা এগিয়ে আসার সাহস যোগাতে পারছেন না। এরপরও জেলার সর্বোচ্চ লিগে সর্বাধিক দেড় লক্ষ টাকা স্পনসর করতে দুবার ভাবেননি আঙ্কুর পাল। আজ সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চে বসেই বাবার নামের টুর্নামেন্টের জন্য পুরো টাকা এক চেকে পেমেন্ট করে দিলেন। সেটা গ্রহণ করলেন ডি এস এ-র সভাপতি বাবুল হোড়, সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং এবং ক্রিকেট সচিব নিরঞ্জন দাস। আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ বাকি যা ব্যয় হবে সেটা যাবে সংস্থার তহবিল থেকে।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বসছে সুপার ডিভিশনের আসর। প্রাইজমানি বাড়ছে না। চ্যাম্পিয়নরা পাবে ট্রফিসহ ৩০ হাজার টাকা, রানার্সরা ২০ হাজার। প্রতিদিন থাকছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ফাইনালের সেরা সহ টুর্নামেন্টের বিভিন্ন ক্যাটেগরির ম্যাচ সেরার জন্য পুরস্কার থাকছে। ফাইনাল হবে ফ্লাডলাইটে। তবে দীর্ঘদিন ধরে তো বাতিস্তম্ভগুলি জ্বালিয়ে দেখা হয়নি। সভাপতি ও সচিব জানালেন, যদি বাতিগুলো ঠিকঠাক থাকে, বা কম খরচে সারিয়ে তোলা যায়, তাহলে নৈশালোকে হবে ফাইনাল। নইলে দিনে দিনেই শেষ হবে ৪০ ওভারের ফরম্যাটের আসরটির শেষ ম্যাচও। ছয় দলীয় লিগের নকআউটে ফাইনাল ছাড়াও থাকবে দুটি সেমিফাইনাল। এবার দলগুলিকে ম্যাচ প্রতি অ্যাপিয়ারেন্স মানি না দিয়ে সংস্থা ম্যাচবলের ব্যবস্থা করে দেবে। প্রসঙ্গত, দুই এন্ড থেকে দুটি সাদা বল ব্যবহার করা হবে একই ইনিংসে।
গত বছর অংশগ্রহণকারী সবগুলি দলকে জার্সি দিয়েছিল ডি এস এ। তাই, এবার শুধু নবাগত যোগাযোগ সংঘ নতুন রঙিন জার্সি পাবে। সব মিলিয়ে এখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কিছু মুহূর্ত কিন্তু আসতে চলেছে।