দিল্লি পুলিশের নির্ধারণ করা স্থানে নয়, সড়কে এসেই কৃষকদের দাবি-দাওয়ার কথা শুনতে হবে সরকারকে। আর কৃষি আইন ইস্যুতে কোনও শর্তও মানা যাবে না। রবিবার এমনটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কৃষক ইউনিয়নের নেতারা।
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩ ডিসেম্বরের পূর্বনির্ধারিত দিনক্ষণের আগেই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে, সব কৃষক একটি নির্দিষ্ট স্থানে এসে জমায়েত হওয়ার পরই এটা সম্ভব, এমন কথাও উল্লেখ করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু এধরনের শর্ত রেখে কোনও আলোচনা করতে রাজি নন কৃষকরা। টানা আন্দোলনের প্রভাবে কেন্দ্রের সুর কিছুটা নরম মনে হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু, কৃষকরা যে তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন, ইউনিয়ন নেতাদের মন্তব্যে তা সাফ ধরা পড়ছে।
উল্লেখ্য, পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত ও দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। এমনকী জলকামানেরও ব্যবহার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। একদিকে সমালোচনা, অন্যদিকে কৃষকদের নাছোড় মনোভাব, শেষপর্যন্ত শর্ত ছুড়ে দিয়ে কৃষক সংগঠনগুলোকে আলোচনার টেবিলে ডাকে সরকার। যদিও এই প্রস্তাবে স্পষ্ট মানা করে দেয় ইউনিয়ন।
এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। কেন্দ্রের তরফে নিঃশর্ত আলোচনার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।