১০ টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের আহ্বানে শ্রমিক ও কৃষক স্বার্থপরিপন্থী সরকারি নীতির বিরুদ্ধে পথে নামলেন শিলচরের ব্যাংক কর্মচারীরাও । রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর প্রাইভেটাইজেশন, কর্মচারী নিয়োগ না করা, স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগের পরিবর্তে আউটসোর্সিং, জনগণের জমা করা টাকার ওপর ক্রমাগত সুদের হার কমানো ইত্যাদি সরকারি নীতির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ব্যাংক কর্মীরা গর্জে ওঠেন ।
কর্মচারী সমিতির প্রতিনিধিরা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, যে সরকার সবক্ষেত্রেই বেসরকারিকরণ চাইছে। ওপর তুলে দিয়ে নিজের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাইছে । সাধারণ মানুষ তাঁদের সারাজীবনের সঞ্চয় ব্যাংকে রাখেন । কারণ ব্যাংকগুলোর মালিক ভারত সরকার । কিন্তু মানুষ সেখানে টাকা রাখতে নিশ্চয়তা পান এখন সরকার সেই নিশ্চয়তাও কেড়ে নিতে চাইছে । এখন সরকার আবার সেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোকেই কেনা-বেচা করে দিতে চাইছে । ব্যাঙ্কগুলোতে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না, যা কিছু করা হয় তা অস্থায়ী কর্মী যাঁদের কি না নামমাত্র সূযোগ-সুবিধাটুকুও দেওয়া হয় না ।
কর্মীরা অভিযোগ তুলেন, করোনার সুযোগ নিয়ে সরকার একের পর এক কৃষকবিরোধী, শ্রমিকবিরোধী বিলকে আইনে পরিণত করে নিয়েছে। সরকার শ্রমজীবী, সাধারণ জনগণের প্রতি সবরকম দায়-দায়িত্ব ছেড়ে পুরো ব্যবস্থাই মুষ্টিমেয় কিছু কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে চাইছে । শ্রমজীবী নয়, কর্পোরেটরদের তোষামোদ করছে সরকার। কৃষিবিল পাস করার পর থেকে বাজারে আগুন লেগে আছে । সাধারণ মানুষ প্রতিদিন মূল্যবৃদ্ধির সেই উত্তাপ পাচ্ছেন, অথচ সরকারের কানে সেই যন্ত্রণা পৌঁছায় না ।
এ দিন, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক ও কানাড়া ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে কর্মচারীরা নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সমিতির পক্ষ থেকে তরুণ নন্দী, ধীরঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য, রাহুল রায়, সাগর রবিদাস, জয়দীপ পাল প্রমুখ বক্তব্য পেশ করেন।