কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ফের শুরু হয়েছে কৃষকদের 'দিল্লি চলো' আন্দোলন। সরকার বিরোধী এই কর্মসূচি ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লির সব সীমান্ত এলাকাকে। বিশেষ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানার সঙ্গে জুড়ে থাকা সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। টহল দিচ্ছেন হাজার হাজার পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী।পাথর, টিপার, কাঁটাতার ইত্যাদি দিয়ে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ বিভাগ। ড্রোন দিয়ে নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির। পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে বেলা দশটা থেকেই ক্ষোভের পারদ চড়ছে কৃষকদের। তাঁদের রুখতে জলকামান ছুড়ছে পুলিশ। বেলা ২ টা পর্যন্ত রাজধানীর ভেতরে ও বাইরে বন্ধ রয়েছে মেট্রো পরিষেবা।
এ পর্যন্ত শতাধিক কৃষক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা মতোই বৃহস্পতিবার দিল্লিকে টার্গেট করে বিশাল কৃষক মিছিল এগোচ্ছে রাজধানীর দিকে। যদিও করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষকদের জমায়েত থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কৃষি আইন কোনোভাবেই কৃষকদের স্বার্থবিরোধী নয়, বলে আস্বস্ত করেছেন নমো। কৃষকদের কথায়, কোনওভাবে হলেও ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন তাঁরা। কারণ, ওইদিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে। যদি কৃষক সমাজের স্বার্থের পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে তো ঠিক আছে। অন্যথায় কৃষকদের রোষের আগুনে জ্বলবে দিল্লি।
এ দিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কৃষি আইনকে কৃষক বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে জটিল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছেন কেজরি।
প্রসঙ্গত, দেশে নতুন কৃষি আইন লাগু করার পর থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরূদ্ধে প্রতিবাদ আছড়ে পড়ছে। এমনকী এনডিএ-র প্রতিষ্ঠাতা জোটসঙ্গী শিরোমণি আকালি দল পর্যন্ত সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে এই আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে।