পূজার মরশুম অতিক্রান্ত হওয়ার পরই বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। তার ওপরে ঠাণ্ডার প্রভাব কোভিড আক্রমণে মদত জোগাচ্ছে। এককথায় ভাইরাস সংক্রমণের গতি কিছুটা স্তিমিত মনে হলেও, এখন দিল্লি সহ দেশের কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি নতুন করে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এতেই কোভিড প্রটোকল ইস্যুতে কড়া মনোভাব দেখিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কনটেইনমেন্ট জোনে করোনা প্রটোকল নিয়ে ঢিলেমি না করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে সাফ জানিয়ে দেয়। এই জোনে যাতে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার অনুমতিই দেওয়া হয়, নির্দেশ দেয় মন্ত্রক। কোভিড-১৯ নিয়ে এবছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমার নতুন গাইডলাইন ইস্যু করে কেন্দ্র। জানিয়ে দেয়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে নৈশ কারফিউ জারি করতে পারে। ঘোষণা করতে পারবে কন্টেইনমেন্ট জোন।তবে, লকডাউন দিতে হলে কেন্দ্রের নির্দেশ বাধ্যতামূলক।
সাপ্তাহিক বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, বাজার এলাকা ইত্যাদি ভিড়ভাড় স্থানে সতর্কতা অবলম্বনে স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ বিভাগ নতুন এসওপি ইস্যু করেছে। মাস্ক, সমাজিক দূরত্ব, স্যানিটাইজেশনে গুরুত্ব ছাড়াও অন্যান্য আরও কিছু সতর্কতা আরোপ করা হয়েছে এসওপি-তে। দেশ আনলক হওয়ার পর দেওয়া ছাড়ে কার্যত বাতিল করা হয়েছে এতে। গর্ভবতী মহিলা সহ ৬৫ বছরের বেশি ও ১০ বছরের কম বয়সীদের একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘোরাফেরাতে ফের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নতুন গাইডলাইনে।
দেশ পুরোপুরি আনলক হয়ে যাওয়ার পর কোভিড প্রটোকল নিয়ে বাধ্য-বাধকতার দৌড়ঝাঁপ তেমন একটা নজরে পড়েনি বেশিরভাগ স্থানেই। এটাও বাড়তি সংক্রমণের একটি কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।