এক বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনের অবসান হল।নক্ষত্র পতন হল কংগ্রেস রাজনীতিতে। প্রয়াত হলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। সোমবার সন্ধে ৫ টা ৩৪ মিনিটে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৬। অসমের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা। ১৯৭১ সালে যোরহাট থেকে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন। প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ১৯৮৬ সালে। তাঁর জীবনের সেরা রাজনৈতিক সময় ছিল ২০০১-২০১৬। তিতাবর থেকে জয়ী হয়ে টানা ১৫ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী মোদি থেকে শুরু করে জিতেন্দ্র সিং, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী,বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য নেতা-মন্ত্রী, প্রবীণ নেতা গগৈর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন, তরুণ গগৈর আশঙ্কাজনক শারীরিক অবস্থার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ডিব্রুগড় থেকে বিশেষ বিমানে করে গুয়াহাটি আসেন। পৌঁছান জিএমসিএইচ-এ। তার কিছুক্ষণ পরই জীবনাবসান হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। সর্বানন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, 'বাবার মতো ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে অভিভাবকহারা হলাম। মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার কথায়, এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ছিলেন উদ্যমী। এটা আমার সৌভাগ্য যে দীর্ঘ বছর তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে কোনও নির্দিষ্ট দল বলে নয়, গোটা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। যা সঠিক অর্থেই পূরণ হবার নয়।
জানা গেছে, আজ গুয়াহাটি মেডিক্যালেই থাকবে গগৈর মরদেহ। মঙ্গলবার প্রথমে সচিবালয় ও পরে রাজীবভবনে রাখা হবে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। ২৫ নভেম্বর শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে সকাল থেকেই মরদেহ থাকবে, প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন দলীয় কর্মী, শুভানুধ্যায়ীরা। ২৬ নভেম্বর হবে অন্ত্যেষ্টি, তবে কোন জায়গায় হবে তা এখনও পরিষ্কার হয় নি। এ দিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে রাজ্যে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।