উত্তর ত্রিপুরার ডলুবাড়ি গ্রাম গুলিকাণ্ডে প্রাণ হারালেন আরেকজন। মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল দুইয়ে। শনিবারের ঘটনায় গুরুতর জখম এক দমকল কর্মী রবিবার মারা যান। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৫। এখনও থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে গোটা এলাকায়। উত্তেজনা যাতে ফের বড় আকার না নিতে পারে তার জন্য বিএসএফ ও টিআরএস জওয়ানরা টহল দিচ্ছে। মোট কথা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য রিয়াং শরণার্থী পুনর্বাসন ইস্যুতে টানা সাত মাস ধরেই বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। যদি পুনর্বাসন দিতেই হয়, তবে ৮ জেলায় ভাগ করে দেওয়া হোক, শুধু কাঞ্চনপুর এলকায় নয়, এমন দাবি নিয়েই চলছে আন্দোলন। ১৬ নভেম্বর থেকে এই বিরোধ বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, বনধ ইত্যাদি মিলিয়ে বাড়তে থাকে।
শনিবার ডলুবাড়ি জয়েন্ট মুভমেন্ট চলাকালীন পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা ওইদিন পানিসাগরে শিলচর-আগরতলা সড়কও অবরোধ করে। ডলুবাড়ি এলাকায় একসময় গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। শ্রীকান্ত দাস নামের এক কার্পেন্টার এর মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা দমকল কর্মী বিশ্বজিৎ দেববর্ম মারা যান রবিবার। জানা গেছে প্রতিবাদী জনতার রোষে জখম হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। পুরো ঘটনার জন্য ঘুরেফিরে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে সারা বাঙালি যুব ছাত্র সংস্থা।
এদিকে, পুলিশের গুলি চালনার ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী কেন্দ্র প্রথম ধাপে ১৫০০ শরণার্থীকে উত্তর ত্রিপুরায় পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ভাবছে। অথচ, ৬ হাজার রিয়াংয়ের পুনর্বাসন দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। পুনর্বাসন বাবদ ৬০০ কোটি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।