একক শক্তিতে ভোট! শাহ-নাড্ডাকে কী যুক্তি শোনালেন সর্বা, হিমন্তরা?
- বার্তালিপি ডেস্ক
- - নভেম্বর ২১, ২০২০
বিটিসি নির্বাচনে বিপিএফের সঙ্গে মিত্রতা ভঙ্গ করে আসলে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে একক শক্তিতে ময়দানে নামার মহড়া দিতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে এমনই বার্তা দিয়েছেন সর্বানন্দ সোনোয়াল, হিমন্তবিশ্ব শর্মা, রঞ্জিত দাসেরা। তবে অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা শরিক দলগুলোর সঙ্গে মিত্রতা ভঙ্গের এই কৌশল নিয়ে সন্দিহান। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা, বুঝেশুনে ধীরে চলা হোক।
এ দিন নয়াদিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার বাড়িতে বৈঠকে বসেন দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের নীতি নির্ধারকরা। ছিলেন অমিত শাহও। মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল, হিমন্তবিশ্ব, রঞ্জিত দাস ছাড়াও ছিলন সাংসদ তথা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শইকিয়া সোনোয়াল, অজিত জামুয়াল প্রমুখ।
রাজ্য নেতৃত্বের যুক্তি, কংগ্রেস ইউডিএফের আতাঁতঁ হলে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কমবে। এ ক্ষেত্রে শরিক দলগুলোকে বেশি আসন ছেড়ে দিলে আখেরে বিজেপির ক্ষতি হতে পারে। দ্বিতীয়ত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা গেছে, অগপর আসন সংখ্যা অনেক কমেছে। এর চেয়ে জোটে না গিয়ে বিজেপি এককভাবে প্রার্থী দিলে আরও ভালো ফল করা যেত। ফলে আগামী নির্বাচনে অগপর সঙ্গে জোট বজায় রাখলেও শরিক দলগুলোকে হাতেগোনা কয়েকটি আসন ছেড়ে দিলেই বিজেপির আখেরে লাভ হবে। তাছাড়া, ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে মহারাষ্ট্রের মতো শরিকদের ভাঙিয়ে নিয়ে গেলে দিসপুর হাতছাড়াও হতে পারে। এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে যে একুশে অগপকে তিন চারটি আসনের বেশি ছাড়া না-ও হতে পারে। অর্থাৎ অগপর যে তিনজন মন্ত্রী রয়েছেন শুধু তাঁদেরই আসন ছেড়ে দেবে বিজেপি।
বিপিএফের ক্ষেত্রেও একই ফর্মুলা গ্রহণ করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। বিধানসভায় হাগ্রামার দলকে এগারো বারোটি আসন ছেড়ে দিলে বিজেপির আখেরে ক্ষতি হতে পারে। বিপিএফ ২০১৬-র আগে কংগ্রেসের শরিক ছিল।
বিটিসি নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সফল হতে পারবে না, এটা জেনেও হাগ্রামার সঙ্গে জোট ভেঙে একলা চলোর পথে হাঁটতে চাইছেন হিমন্তবিশ্ব, রঞ্জিত দাসরা। তাঁদের কাছে এই নির্বাচন মূলত একুশের মহড়া। ফলে বিপিএফ ভাঙানোর পথে নেমেছে বিজেপি।
রাজ্য নেতৃত্ব এসব যুক্তি শাহ নাড্ডার দরবারে তুলে ধরেছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই তত্ত্বে পুরোপুরি সায় দেননি। তাঁদের মতে, পুরনো শরিকদের হাত ছেড়ে দিলে একুশে ধাক্কা খেতে পারে বিজেপি। বরং সিএএ-র প্রেক্ষাপটে অগপর মতো জাতীয়তাবাদী দল পাশে থাকলে আখেরে সুবিধাই হবে।
সব মিলিয়ে শুক্রবারের আড়াই ঘণ্টার বৈঠকের পর একটা বিষয় স্পষ্ট। জোট নিয়ে আগামীতে আরও কয়েক দফা আলোচনায় বসতে হবে কেন্দ্র ও বিজেপি নেতৃত্বকে।