পৃথক পৃথক ঘটনায় আত্মঘাতী দু’জন। একজন মহিলা। তার নাম বাসুকি
তাঁতী(৪০),বাড়ি উত্তর
ত্রিপুরার কদমতলা থানাধীন মহেশপুর বাগানে। অপর আত্মহত্যাকারী এক যুবক। তার বাড়ি লোয়াইরপোয়ার জুলাইবাসা গ্রামে। নাম দেবাশীষ নাথ(১৮)। ঘটনার পর কদমতলা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের
পর সেগুলি তাদের পরিবারের হাতে সমঝে দিয়ে প্রাথমিক তদন্তে
নেমেছে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, কদমতলা
থানাধীন মহেশপুর গ্রামের পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হরেন্দ্র তাতির স্ত্রী
বাসুকি তাঁতি তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে দিন যাপন করে আসছিলেন। মায়ের সাথে
সংসারের হাল ধরেছিল বাসুকি দেবীর বড় ছেলে। গতকাল বড় ছেলে সকালেই কাজে বেরিয়ে
পড়ে। ছোট দুই ছেলে এবং এক মেয়ে মায়ের সাথে বাড়িতেই ছিল। তারা বিকেলের দিকে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। ফিরে এসে তারা
দেখতে পায় তাদের মা বাসুকি তাঁতি রান্না ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মায়ের
দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার চেচামেচি করলে প্রতিবেশিরা
ছুটে আসেন। আসে বাসুকি তাতির বড় ছেলেও। অপরদিকে কদমতলা থানাধীন বরগোল গ্রাম
পঞ্চায়েতের জুলাইবাসার বাসিন্দা দেবাশীষ নাথ পিতা মনোরঞ্জন নাথ বাড়ির পাশে একটি
গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত আনুমানিক নয়টার দিকে দেবাশীষ ঘর থেকে বাইরে যায়। পরিবারের
লোকজন ভাবেন হয়ত সে বাড়ির আশপাশ কোথাও ঘুরতে গেছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে
যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করে দেখতে পান বাড়ির পাশে একটি
গাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। দেবাশীষের পরিবার তরফ থেকে আরও
জানা যায় সে কদমতলা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
দীর্ঘদিন থেকে রাত জেগে মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেইম খেলত। আর এই গেম খেলা শুরু করার
পর থেকে পরিবারের লোকজনদের সাথে ভালোভাবে কথাবার্তা বলত না। সুতরাং
পরিবারের প্রাথমিক ধারণা, মোবাইল-গেম
খেলার কারণেই হয়তো দেবাশীষ পরবর্তিতে মনরোগের শিকার হয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা
করেছে। দুটি ঘটনায় স্থানীয় জনমনে শোকের ছায়া-সহ নানা
প্রশ্নচিহ্ন বিরাজ করছে।