বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ মোটেও বাঙালির নেতা নন। তিনি শুধুমাত্র বাঙালি মুসলিমদের নেতা। তবে হিন্দু বাঙালির নন। তাকে হিন্দু বাঙালিরা নেতা মানেও না। কারণ তিনি হিন্দু বাঙালির হয়ে একদিনও কোনো কথা বলেননি। উল্টো এনআরসিতে শুধুমাত্র হিন্দু বাঙালির নাম সামিল না হওয়ার জন্য করিমগঞ্জে মশাল মিছিল করেছিলেন। এমনকি শিলচরে আসা জেপিসির প্রতিনিধির কাছে গিয়ে এমন দাবিও জানিয়ে এসেছিলেন। সুতরাং কমলাক্ষর বাঙালিদের বিশেষ করে হিন্দু বাঙালির নেতা হওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভালো। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই মন্তব্য করেছেন করিমগঞ্জ বিজেপির জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি কমলাক্ষ হিন্দু বাঙালি ভোট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এনিয়ে মন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন কমলাক্ষ। এর চব্বিশ ঘন্টার মাথায় কমলাক্ষকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন সুব্রত। সাংবাদিক সম্মেলনে কমলাক্ষকে আগাগোড়া মুসলিম দরদি বলে মন্তব্য করেছেন। সুব্রত বলেন, কমলাক্ষ মুসলিমদের নেতা। হিন্দু বাঙালির নন। তিনি হিন্দু বাঙালির হয়ে কোনো কাজ করেননি। দু'বার বিধায়ক হয়ে ধরাকে সরা ভাবতে শুরু করেছেন। হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে উত্তর করিমগঞ্জে নির্বাচন লড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন। কমলাক্ষকে পরাজিত করার জন্য মন্ত্রীর এসে ভোটে দাঁড়াতে হবে না। দল যাকে টিকিট দেবে সে-ই বিজয়ী হবে। একুশের নির্বাচনে কমলাক্ষর পরাজয় নিশ্চিত। কমলাক্ষ হিমন্তবিশ্বের রাজনৈতিক প্রভাব কমে গেছে বলে আবোলতাবোল মন্তব্য করছেন। কমলাক্ষ ভুলে গেছেন হিমন্ত শুধু মন্ত্রী নন। নেডার আহ্বায়কও। আর কমলাক্ষ নিজেও একসময় হিমন্তর অনুচর ছিলেন৷ আর এখনও কমলাক্ষকে মন্ত্রীর দরজার বাইরে গিয়ে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বলে মন্তব্য করেন সুব্রত ভট্টাচার্য।