লকডাউন শেষ হয়েছে বেশ ক’দিন আগেই। তারপর শুরু হওয়া
আনলক পর্বও চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। বস্তুত অক্টোবর মাস থেকে পঞ্চম দফার আনলক প্রক্রিয়া
চলছে সারা দেশেই। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের অর্থমন্ত্রী, সকলেই দাবি করে আসছেন
যে, অর্থনীতির চাকা ফের ঘুরতে শুরু করেছে। করোনা-পর্ব সামাল দিয়ে ছন্দে ফিরছে ব্যবসা-বাণিজ্যও।
কিন্তু কোকরাঝাড়ের একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের আত্মঘাতী হওয়ার করুণ কাহিনী বলে দিচ্ছে,
নেতারা দাবি করলেও ছন্দে ফেরা এখনও বহু দূর।
অসমের কোকরাঝাড়
জেলার তুলসীবিল শহরে এক বাঙালি পরিবারের পাঁচ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় এদিন। মৃতরা হচ্ছেন নির্মল পাল, তার স্ত্রী মল্লিকা পাল ও তিন কন্যা পুজা, নেহা ও দীপা। কোকরাঝাড়ের পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন
জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে পাঁচজনই আত্মহত্যা করেছেন বলেই ধারণা করা
হচ্ছে। নির্মল এলপিজি গ্যাসের ব্যবসা করতেন। গ্যাস সংযোগের ব্যবসা সংক্রান্তেই
মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লকডাউন ও পরবর্তী সময়ে ব্যবসায় প্রচণ্ড
ক্ষতি হয় তার। সেই কারণেই আত্মহত্যা বলে সন্দেহ পুলিশের। যদিও সারা আসাম বাঙালি
যুবছাত্র ফেডারেশনের তরফে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করা হয়েছে।