একদিন আগেই রাজ্য সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিমন্ত
বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে, শঙ্করদেব কলাক্ষেত্র কেবল বৈষ্ণব ধর্ম-সম্পর্কিত বিষয়বস্তু
সংরক্ষণের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। ফলে এখানে অন্য সংস্কৃতির ধারক কোনোকিছু গড়ে
তোলা সম্ভব নয়। তাই শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতি রক্ষার্থে
সংগ্রহশালা স্থাপন করা যাবে না।
এদিন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বার্তালিপি ডিজিটাল-কে বলেন,
সম্পূর্ণ ভুল তথ্য পেশ করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সরকারি নথি বলছে যে অসম চুক্তির
অধীনে স্থাপিত হওয়া শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে অসমের সকল জনগোষ্ঠীর
কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে তুলে ধরা। এখানে কোথাও ধর্ম বা বিশেষ জাতির কথা উল্লেখই করা
হয়নি। এবার বাঙালি জনগোষ্ঠী রাজ্যে মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। এত বৃহৎ সংখ্যার জনগোষ্ঠীর
প্রতিনিধিত্বে কি শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে কোনও সংগ্রহশালা করা সম্ভব নয়?
কমলাক্ষের অভিযোগ, বাঙালি জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন উপায়ে
হেয় প্রতিপন্ন করার ফন্দিফিকির আঁটছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মারা। এটা গত কয়েকবছরে বারেবারে লক্ষ
করা গেছে। সরকারি নথিকে উপেক্ষা করে নিজের মতো করে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করেই চলেছেন
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অথচ শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রর স্থাপন করার উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ
করলে সেখানে অনায়াসেই একটি বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতির সংগ্রহশালা প্রস্তুত করা যায়।
এ বিষয়ে উত্তর করিমগঞ্জের
বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের প্রতিক্রিয়া দাবি করেছেন।