শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতি
রক্ষার্থে একটি সংগ্রহশালা স্থাপন করা হোক, এই দাবি তুলেছিলেন উত্তর করিমগঞ্জের
বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। কমলাক্ষের যুক্তি ছিল, অসমে দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী
হচ্ছে বাঙালি জনসমাজ। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় তিরিশ শতাংশই বাঙালি। তাই শঙ্করদেব
কলাক্ষেত্রে বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বও থাকা উচিত। তাঁর এই দাবিকে সমর্থন জানায় রাজ্যের অধিকাংশ
বাঙালি সংগঠনই। কিন্তু অসমের অর্থ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
এদিন বলেন যে, শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক হিসাবে কোনও সংগ্রহশালা
প্রস্তুত করা যাবে না। নিজের উক্তির স্বপক্ষে কারণ দর্শাতে গিয়ে হিমন্ত বলেন যে, মহাপুরুষ
শঙ্করদেব বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক ছিলেন। তাঁর আদর্শে অবশ্য বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর
লোকেরাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। চৈতন্য মহাপ্রভুর সঙ্গে শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের
সান্নিধ্যের কথাও উল্লেখ করেন হিমন্ত। তবে গুয়াহাটির এই কলাক্ষেত্রে কেবল শঙ্করদেব
সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়েই সংগ্রহশালা থাকবে। এখানে অন্য সংস্কৃতির সংগ্রহশালা গড়ে
তোলা সম্ভব নয়।
বস্তুত, সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী
সুস্মিতা দেব আগেরদিনই শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক কোনও
সংগ্রহশালা প্রস্তুত হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, রাজ্য
সরকার এই বিষয়ে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।
এদিকে অসমের চর-চাপারি অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সংস্কৃতি
তুলে ধরার জন্য শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে সংগ্রহশালা স্থাপনের চিঠি লিখেছিলেন বিধায়ক শেরমান
আলি। হিমন্ত এদিন তাঁকে আক্রমণ করে বলেন যে, মিঞা মিউজিয়াম চেয়ে চিঠি পাঠানো শেরমানের
বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনকি এর জন্য আগামী দিনে শেরমানকে জেল খাটতেও হতে
পারে বলে মন্তব্য করেন অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী।