মেঘালয়ের বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবারে আওয়াজ তুলল 'বঙ্গভাষী অসমিয়া সমাজ'। রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় খাসি সংগঠনের উপদ্রবের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠন। পাশাপাশি নিশানা দেগেছে কেন্দ্রের শাসক বিজেপি সরকারের দিকেও।
সমাজ-এর সভাপতি প্রদীপ সেন শর্মা ক্ষোভের সুরে জানান, হিন্দু বাঙালিকে নাগরিকত্ব দিতে সিএএ এনেছে সরকার। সরাসরি কেউ কিছু না বললেও মুসলিম সম্প্রদায়কে চাপে ফেলেই যে এই আইন চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু হিন্দু বাঙালির দুর্দশা কাটল কই। যে সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে হিন্দু বাঙালি তাঁদের সুরক্ষা কবচ মনে করছেন, সেই আইনই মেঘালয়ে অভিশাপের কাজ করছে।
প্রদীপবাবুর কথায়, দেখা গেছে নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর থেকেই ভোলাগঞ্জ, ইছামতি, কালীবাড়ি ইত্যাদি এলাকার কুড়ি-পঁচিশ হাজার বাঙালি নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এখানে কিন্তু হিন্দু বাঙালির শঙ্কার কারণ খ্রিষ্টানরা। বাঙালির ওপর হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে তারা। জীবন-যাপন নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে বাঙালিদের। ফলে হিন্দু বাঙালির সুরক্ষা নিয়ে শাসক দলের নীতি ও অবস্থান কতটুকু সাফ, সময়ই হয়তো তার সঠিক জবাব দিতে পারবে। কিন্তু সে যাই হোক, মেঘালয়ে বাঙালি নির্যাতন প্রসঙ্গে কেন্দ্র সহ মেঘালয় সরকারের সদর্থক পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছেন বঙ্গভাষী অসমিয়া সমাজের প্রদীপসেন শর্মা।