অসমের হিন্দু বাঙালিকে প্রশাসনিক, আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর দরবারে আর্জি জানিয়েছে অধিবক্তা পরিষদ, কাছাড় জেলা শাখা। সম্প্রতি এই ইস্যুতে বিস্তারিত উল্লেখ করে জেলাশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে একটি স্মারকপত্র পেশ করেছে পরিষদ। স্বাক্ষর করেছেন সংগঠনের সভাপতি অনিল চন্দ্র দে, সম্পাদক সুস্মিতা পুরকায়স্থ, শান্তনু নায়েক প্রমুখ। স্মারকপত্রের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, নেডা'র আহ্বায়ক মন্ত্রী ড.হিমন্ত বিশ্বশর্মা সহ অধিবক্তা পরিষদের অখিল ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি ভারতকুমারের কাছেও।
আসলে ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের ভেতরে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে সরকার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে । অন্যদিকে অসম চুক্তির ৬ নং ধারা রূপায়ণ করে খিলঞ্জিয়ার সুরক্ষা কবচ প্রদানের অঙ্গীকারের কথা বার বার বলা হচ্ছে সরকারের তরফে। এমনকি বিপ্লবশর্মা কমিটির রিপোর্টও জমা পড়ে গেছে। কিন্তু এখানে আবার ভূমিপুত্র বা খিলঞ্জিয়ার সংজ্ঞা নির্ধারণ ১৯৫১ আর ১৯৭১-এর বেড়াজালে আটকে রয়েছে।
যদি এই সংজ্ঞা অনুসারে সরকার চলে তাহলে '৫১' বা '৭১' এর পরে অসমে এসে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু বাঙালির কী হবে? ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পরে আসা হিন্দু বাঙালির নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়াই বা অসমে কীভাবে এগোবে? এসব প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই এসে যায়। তবে এসব সংশয়ের জায়গাকে মিটমিট করে যে কোনওভাবে যাতে অসমে হিন্দু বাঙালির সবরকমের অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়, এমনটাই চায় অধিবক্তা পরিষদ।ছয় পৃষ্ঠার স্মারকপত্রে যুক্তি, তর্ক ও আইনি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এসংক্রান্ত বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে পরিষদের তরফে।